• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

ভৈরবে ধানের মোকামে ক্রেতার সংকটে দুশ্চিন্তায় ধান বিক্রেতারা

  • ''
  • প্রকাশিত ৩০ এপ্রিল ২০২৪

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের হাওরে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই ধানে ভরপুর জেলার বৃহত্তর ভৈরবের ধানের মোকাম। তবে এবার ক্রেতা কম থাকায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ধান বিক্রেতারা।

স্বাধীনতার পূর্ব থেকে ভৈরবের ধানের মোকামে ধান নিয়ে আসেন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন, নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি, হবিগঞ্জের দিরাই, লাখাই, আজমিরিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও সিলেটের কিছু এলাকার ধান ব্যবসায়ীরা।

মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে এই ধানের মোকাম হওয়ায় নদীপথে ধান নিয়ে আসতে সুবিধা হয় হাওরের পাইকারদের। এ কারণেই ভৈরবে সমৃদ্ধ ধানের মোকাম প্রতিষ্ঠা হয়। সময়ের ব্যবধানে ভৈরবের ধানের মোকামের জৌলুস কিছুটা কমলেও হাওরের কিছু অংশের উৎপাদিত ধান এখনও ভৈরব মোকামের মাধ্যমে সারাদেশে মোকাম থেকে ধান কিনে নিয়ে যান ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, লালমনিরহাট, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলার ব্যবসায়ী ও মিলাররা। ২৯ চৈত্র থেকে এ বছর ভৈরব মোকামে নতুন ধানের আমদানি শুরু হয়।

জানাযায় ভৈরবের ধানের মোকামে একাধিক ধানবোঝাই নৌকা মেঘনা নদী ঘাটে নোঙর করে আছে।সবকটি নৌকা হাওর থেকে ধান নিয়ে এসেছে। শ্রমিকরা নৌকা থেকে ধান খালাস করে ঘাটে স্তূপ আকারে বিক্রির জন্য সারি সারি করে সাজিয়ে রাখছেন। কারণ এসব ধান ঘাটেই বিক্রি হয়।ভৈরবের এই মোকামে শুধু কিশোরগঞ্জের হাওরের ধান নয়, পার্শ্ববর্তী নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার হাওরের ধান এই মোকামে নিয়ে আসেন কৃষক ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এই ধান কিনতে সারাদেশ থেকেই পাইকাররা আসেন মোকামে।গত বছর হাওরে চিটায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন কৃষকরা। বিশেষ করে বিআর-২৮ ধান চিটার কারণে ক্ষেত থেকে বাড়িতেই নিতে পারেননি চাষিরা। তবে এবার হাওরে কোথাও চিটার খবর পাওয়া যায়নি। বৈশাখ মাস শুরুর কয়েকদিন আগ থেকে হাওরে মোটা জাতের ধান কাটা শুরু করেন কৃষকরা। এবার বিঘা প্রতি গড় মোটা জাতের ধানের ফলন ২২ মণ পাওয়া যাচ্ছে। ধানের ব্যাপারীর হাওর এলাকার কৃষকের কাছ থেকে মণ প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে ধান ক্রয় করছেন।

ভৈরব চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হুমায়ুন কবীর জানান, ভৈরব মেঘনা নদীর তীরে হওয়াতে ব্রিটিশ আমল থেকেই প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী স্থান। বৈশাখ মাসের শুরুতে প্রতি বছর ভৈরব মোকামে হাওরাঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে ধান আমদানি হয়। এই মোকাম থেকে ধান কিনতে দেশের বিভিন্ন চাতাল মিলের মালিকরা আসেন। এবছর মোকামে পর্যাপ্ত ধানের সরবরাহ রয়েছে। নতুন ধান মণপ্রতি ৭৮০-৮০০ টাকা দরে কেনা-বেচা হচ্ছে। বর্তমান বাজারে ভেজা ধান বেশি বিক্রি হচ্ছে। শুকনা ধান বাজারে আসলে ধানের দাম আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads